ঈশ্বরদীর যুবক আসাদুজ্জামান রিজু (২৭) প্রেম করে বিযে করছেন আমেরিকার তরুণী হারলি এবিগেল আইরিন ডেডিডসন ( ২০) কে এরপর থেকে তার এক সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন ওই আমেরিকান তরুণী। ডেভিডসন আমেরিকার কেনটাকি প্রদেশের জর্জটাউন শহরের বাসিন্দা। আসাদুজ্জামান রিজু ঈশ্বরদী পৌরসভার পিয়ারাখালি মহল্লার মোঃ আব্দুল লতিফের ছেলে। রিজু কম্পিউটার সফটওয়্যার অ্যান্ড হার্ডওয়্যার কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন।
উক্ত আমেরিকান তরুণী হারলি এবেগেল আইরিন ডেভিডসন বাংলাদেশে এসে ইসলাম ধর্মীয় রীতি মালা আইন অনুযায়ী আসাদুজ্জামান রিজুর সঙ্গে বিবাহ করেন। বিয়ের আগেই ডেভিডসন খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
তারা ঈশ্বরদীতে এসে শহরের পিয়ারাখালি এলাকার মনিরুল ইসলামের ৬ তলা বাড়ির ২য় তলার একটি ইউনিট ভাড়া নিয়ে নতুন সংসার জীবন শুরু করেছেন। তাদের দেখতে শত শত মানুষের ভিড় প্রতিদিন। আলাপকালে রিজু ও ডেভিডসন জানান, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। গত এক বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেম ও ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা দুজন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমেরিকার মায়া ত্যাগ করে বাংলাদেশের চলে আসেন।
রিজু জানান আরও বলেন , ‘আমরা উভয়ে ভালোবেসে বিয়ে করে সুখের সংসার করছি। আমাদের বাসা (ভাড়া )৷ বাড়িতে প্রতিদিন অনেক লোকজন আসছেন আমেরিকান তরুণীকে দেখতে। বাসাটির পরিধি ছোটখাটো হওয়ার কারণে নতুন বাসা ভাড়া নিতে বাধ্য হয়েছি। বাড়ির পাশেই একটি পাকা বাড়ি পেয়ে যায় দ্রুত সময়ে মনিরুল ইসলামের বাড়ির একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছি।
এখন বাসায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা কাটা ও গোছগাছ করতে সময় লাগছে। কোন এক প্রশ্নের উত্তরে ভাঙা ভাঙা বাংলায় ডেভিডসন বলেন, ‘আমি ভালো আছি, আমার ভালো লাগছে। খুব খুশি রাজুকে বিয়ে করে। আসাদুজ্জামান রিজুর বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে এ বিয়ে মেনে নিয়ে ওদের নতুন সংসার গুছিয়ে দিচ্ছি ও সহযোগিতা করছি। ঈশ্বরদী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম সাবু বলেন, ওরা আমাী মহল্লায় থাকে। আমেরিকান তরুণী ঈশ্বরদী এসে ঈশ্বরদীর ছেলে আসাদুজ্জামান রিজুর সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন, ওরা ভালো আছে।