প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ৪:৫৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ৮, ২০২৩, ৯:২৫ পি.এম
সংস্কৃতি চর্চা নৃত্য ও নারী নিয়ে একজন শিক্ষকের আপত্তিকর মন্তব্য;কঠোর প্রতিবাদ করতে হবে এখনই
সংস্কৃতি চর্চা নৃত্য ও নারী নিয়ে একজন শিক্ষকের আপত্তিকর মন্তব্য;কঠোর প্রতিবাদ করতে হবে এখনই।
পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে একটি পরিপূর্ণ জীবনসত্তা প্রতিষ্ঠিত করা যায় না, যদি না তার মধ্যে বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য আমরা প্রবেশ করাতে না পারি। বাঙালির নিজস্ব একটা জায়গা আছে। যার মধ্যে জারি, সারি, ভাটিয়ালি, লালনগীতি, কবি গান, পট গান, ভাওয়াইয়া গান, নৃত্য, যাত্রা এগুলো আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালির সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য চমৎকারভাবে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম নৃত্য। নৃত্যের মাধ্যমে জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে সহজ হয় বিধায় নৃত্যের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার চেতনা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রকাশ করা যায়। সংস্কৃতির বিকশিত রূপ দিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সমাজের অবক্ষয়ের বল্গাহীন স্রোত থেকে সন্তানদের রক্ষার জন্য রক্ষণশীলতা থেকে বের হয়ে এসে সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মননশীলতা ও সুকুমারবৃত্তির বিকাশ ঘটানোই একজন আদর্শ শিক্ষক শিক্ষিকার নৈতিক দায়িত্ব । সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি সন্তানদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে। এজন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা যেখানে আমাদের বর্তমান সময়ে খুবই জরুরি ঠিক সেই সময় যখন একজন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সন্মানিত শিক্ষক আমাদের কোমলমতি ছাত্রীদের নৃত্য নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ফেইজবুক প্রকাশ্য বলেন "মঞ্চে উঠে নৃত্য করা নাকি প্রবৃত্তির কামনায় সুড়সুড়ি দেওয়া"নারীকে নাচিয়ে নাকি সৌন্দর্য উপভোগ করা"।আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির ধারক বাহক আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতির অন্যতম উপদান নৃত্য। এই নৃত্য নিয়ে একজন বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকের এমন মন্তব্য সত্যিকার অর্থে কারো কাম্য হতে পারেনা। আমাদের সংস্কৃতিমনা নৃত্যশিল্পী নিয়ে নারীকে নিয়ে একম কুরুচি পূর্ন আপত্তিকর মন্তব্যের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি জানাচ্ছি যে বা যারা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে কোমলমতি ছাত্রীদের এইগুলো থেকে দুরে সরিয়ে মানসিক কোণঠাসা করে জঙ্গি বানাতে চাই, তাদের আইনে আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
শুধুই নৃত্য নিয়ে নয় নারীর কর্মস্হলে যাওয়া, বাহিরে যাওয়া,দেশ গঠনে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হওয়া নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে।ইসলামের কথা বলে-কুরুচিপূর্ণ উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। অথচ ইসলাম কখনোই নারীকে বাহিরে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করেননি,কর্মস্হলে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করেননি, রাজনীতি করতে নিষেধ করেননি। নিজের পর্দার মধ্যে থেকে শালীনতা বজায় রেখে করার কথা বলা হয়েছে। কর্মস্হলে স্কুল কলেজে নিজের পেশায় তো আর কোন নারী উলঙ্গ যায়না!? তাহলে নারীদের নিয়ে এমন জঘন্য উস্কানিমূলক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অধিকার কাউকে দেশের প্রচলিত কোন আইনে দেননি। আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে নৃত্য ও নারী নিয়ে এইসব বক্তব্যে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং যে বা যারাই করেছেন এমন মন্তব্য তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
Design And Develop By Coder Boss