বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই রূপপুরে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য স্বপ্ন দেখেছিলেন।
তারই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে তার সুযোগ্য কন্যা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাশিয়া সরকারের সহযোগিতায় ২০১৩ সালের ২অক্টোবর ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণ কাজের ভিক্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর প্রথম কংক্রিট ঢালাই অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রকল্পের মূল পর্বের কাজ শুরু করেন।
ইতিমধ্যে দুটি চুল্লি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি চুল্লি থেকে ১২ শত মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী। আগামী ২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
উক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।
এই প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে,
এই অঞ্চলে আরো শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে।
এ প্রকল্পে দেশি-বিদেশি সতরটি কোম্পানিতে প্রায় ২২ হাজার মানুষের কর্মসংস্হানের ব্যবস্থা করা হয়। এ প্রকল্পে রাশিয়ার প্রায় সাড়ে চার হাজার লোক জন কর্মরত রয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নতুনহাট এলাকায় ২২ টি ২০ তলা ভবন তৈরি করা হয়েছে।
ঈশ্বরদীর মানুষ গর্ব করে বলেন নতুনহাটের ভবনগুলোর এ অঞ্চল মিনি রাশিয়াঞ্জন্ত নামে পরিচিতি লাভ করে।
এ প্রকল্প কাজে থেকেই ঈশ্বরদী সহ নিকটস্থ এলাকার দিন দিন অর্থনীতির উন্নয়নের সাথে মানুষের জীবনযাত্রা মানেরও উন্নয়ন ঘটতে থাকে। এবং বিভিন্ন ধরনের শপিং মল তৈরি হয়েছে, বিনোদনের জন্য পাকশী রিসোর্ট, স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্ট সহ গ্রীন সিটি সী ফুড স্টেশন নামে বিভিন্ন ধরনের মার্কেট তৈরি হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে দোকানের সাইনবোর্ডগুলো রাশিয়া যান ভাষা এবং কর্মচারীরাও রাশিয়ান ভাষা আজকে নিয়ে আসছে।
পাশাপাশি এলাকার ও দোকানের কর্মচারীরা রাসিয়ান ভাষা শিখে গেছে। তাই সত্যি বাসি গর্ব করে নতুনহাট কে মিনি রাশিয়া বলে সবার মুখে মুখে এখন পরিস্থিতি লাভ করেছে