কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ সিটি কর্পোরেশন কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্নের ইতিহাসে দীর্ঘ ১১ বছর সফলতার সাথে অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন সাহেব কালের সাক্ষী হয়ে আছেন।
অত্র কলেজটি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘ পথ চলায় কালের পরিক্রমায় কলেজের কঠিন সময়ে ২০১৪ সালের ৩০ জুন অধ্যক্ষ হিসেবে জয়নাল আবেদীন সাহেব যোগদান করেন। তাঁর সততা, অক্লান্ত পরিশ্রম, সময়োপযোগী সুচিন্তিত সৃজনশীল পরিকল্পনার ফলেই হাটহাজারী উপজেলায় শিক্ষা বিস্তারে কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ সিটি কলেজ এখন একটি সুপরিচিত, সুপ্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যোগদানের পর থেকে জয়নাল আবেদীন সাহেব অত্র কলেজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার মেধা, প্রজ্ঞা, ধীশক্তির মধ্য দিয়ে যা কলেজের ইতিহাসে মাইল ফলক হিসেবে কাজ করছে।
১) শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিঃ
অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কলেজকে শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য সবচেয়ে বেশী দরকার শিক্ষকদের মধ্যে আন্তরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা। ফলে শিক্ষক শিক্ষার্থীর মধ্যে সু্ন্দর সমন্বয় তৈরির ফলে কলেজে শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ তৈরী হয়েছে।
২) অবকাঠামোগত উন্নয়ণঃ
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই স্যার শ্রেণিকক্ষ সংকট উপলব্ধি করেন এবং সাথে সাথে শ্রেণি কক্ষ সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিয়ে ২য় তলা বিশিষ্ট বাণিজ্য ভবনকে পযার্য়ক্রমে ৩য় ও ৪র্থ তলা পযন্ত সম্প্রসারণ এবং প্রশাসনিক ভবনেও শ্রেণি কক্ষ তৈরী করে ক্লাসরুম সংকট নিরশন করেন।
৩) শিক্ষার উপকরণ বৃদ্ধিঃ
ক্লাসরুম সংকট সমাধানের পরপর নজর দেন শিক্ষার উপকরণ বৃদ্ধি, ল্যাব ও লাইব্রেরি সংস্কারের উপর। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর সাথে যোগাযোগ করে ল্যাবে উপকরণ ও লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন। শ্রেণি কক্ষে বেঞ্চ বৃদ্ধি ও কলেজে বিভিন্ন প্রকারের আসবাবপত্র বৃদ্ধি করে সংকট সমাধান করেছেন।
৪) শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধিঃ
দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভর্তুকি নিরসনে পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি করে কলেজকে স্বাবলম্বী করেছেন। এবং বোর্ড রেজাল্ট এ ও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।
৫) নান্দনিক কলেজ তোরণ :
দীর্ঘ ৫০ বছরে ও যেখানে কলেজে কোনো কলেজ গেইট ছিলো না সেখানে তিনি যোগদান করে কলেজের মেইন রোডের সাথে একটি নান্দনিক তোরণ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করে কলেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন।
৬) শহীদ মিনার তৈরীঃ
কুয়াইশ কলেজ প্রতিষ্ঠার পর কলেজে কোন শহীদ মিনার ছিল না। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর জেলা পরিষদের অনুদানে সুন্দর একটি শহীদ মিনার তৈরী করেছেন যার ফলশ্রুতিতে এলাকাবাসীও উপকৃত হচ্ছে।
৭) রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ:
প্রশাসনিক ভবনকে ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করতে কলেজের পিছনে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করেন।
৮) ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু এবং সঠিক পাঠ চর্চার মাধ্যমে ভালো ফলাফল করে কলেজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
৯) তাছাড়া অধ্যক্ষ মহোদয়ের চেষ্টায় বর্তমানে কলেজে দশতলা ভবন নির্মাণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদান মন্ত্রনালয় হতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই কাজগুলো দৃশ্যমান হবে ইনশাআল্লাহ।
আজ অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন সাহেবের অধ্যক্ষ হিসেবে ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিক্ষক ও কর্মচারী পরিষদ কর্তৃক শিক্ষক মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক বৃন্দ উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানকে মহিমান্বিত করেছেন এবং অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন সাহেব কে একজন সফল অধ্যক্ষ হিসেবে মন্তব্য করেছেন।